Sonaly Khobor

Showing 1 of 1

আলমগীর হোসেন কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলায় গত ২৪-০৩-২৫ ইং তারিখ নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ ভিজিএফ চাল লুটপাট হওয়ার দৃশ্য হাতেনাতে ধরে। ওই ইউনিয়নের মোঃ আতিকুর রহমান সহ সাধারণ জনগণ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে হাসনাবাদ ইউনিয়নের পরিষদের পাশে থাকা এক গোডাউন থেকে ১২ টি বস্তা উদ্ধার করেন, যার মধ্যে ১টি চালের বস্তাতে ৮০ থেকে ৯০ কেজি চাল রয়েছে । উক্ত ইউনিয়নের উদ্ধারকৃত চাল আইনি প্রক্রিয়ায় না নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিবিবর আহমেদ ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মুফাখখরুল ইসলাম চার বস্তা চাল এতিমখানায় দেবেন চেয়ারম্যান কে বলে চলে আসেন, এদিকে ওই ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ বলেন, জব্দ করা চাল সাধারণত আইনিভাবে দেখার কথা, কে এর সঙ্গে জড়িত তা না করে শত শত সাধারণ জনগণের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত ভিজিএফ চাল এর সমাধান এক নিমিষে শেষ করে দিয়ে চলে যান। নির্বাহী কর্মকর্তা বলে কথা,যা করবেন তাই হবে, অন্যদিকে বেরুবাড়ী ইউনিয়নের ১০০শ থেকে ২০০শ ওপর সাধারণ মানুষ ভিজিএফ চাউলের লুটপাট হয়েছে এ ধরনের লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দাখিল করার পরেও আজও কোন প্রকার সমাধান মেলেনি। অন্যদিকে গোপন বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় , উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা উভয় যোগ সাজসে ভিজিএফ চালের মাস্টার রোল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং ভিজিএফ এর চাল উত্তোলন হচ্ছে যাদের নামে অর্থাৎ কোন ইউনিয়নে ংচেয়ারম্যান নাম দিয়ে আবার কোন ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যানের নামে চাল উত্তোলন করা কালে মাস্টার রোলের ১০ টন পযর্ন্ত ব্যক্তিদের নামের তালিকা কর্তন করে অবশিষ্ট চাল গন্তব্য স্থানে নিয়ে যায় বলে জানা যায়। বিশেষ গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানা যায়, এই ইউনিয়ন গুলোতে ভিজিএফ চাল বিতরণ কালে কখনো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা এবং বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ কালে বুজিয়ে নেওয়ার কখনই প্রয়োজন মনে করেননি বা বরাদ্দকৃত সম্পূর্ণ চাল একত্রিত করে বা বুঝিয়া পেয়ে চাল বিতরণ করা হয়নি।

নাগেশ্বরী উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে যথাক্রমে নুন খাওয়া ইউনিয়নে ৩৪. ৭৪০ মেট্রিক টন, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ৪৪.৫১০ মেট্রিক টন, রামখানা ইউনিয়নে ৭২.৭০০ মেট্রিক টন, সন্তোষপুর ইউনিয়নে ৭৯.৬৯০ মেট্রিক টন, বল্লবভের খাস ইউনিয়নে ৬৪.৫৫০ মেট্রিক টন, কালিগঞ্জ ইউনিয়নে ৪৭.২৬০ মেট্রিক টন, বেরুবাড়ী ইউনিয়নে ৫৩.৩১০ মেট্রিক টন, নেওয়াশী ইউনিয়নে ৫৬. ২৪০ মেট্রিক টন, রায়গঞ্জ ইউনিয়নে ৫৬. ৬৭০ মেট্রিক টন, কেদার ইউনিয়নে ৭২.৭৮০ মেট্রিক টন, নারায়ণপুর ইউনিয়নে ৬৬. ৯৮০ মেট্রিক টন, কচাকাটা ইউনিয়নে ৫০. ৩০০ মেট্রিক টন, ভিতরবন্দ ইউনিয়নে ৫৬.৯৬০ মেট্রিক টন এবং হাসনাবাদ ইউনিয়নে ৫৩.৪৯০ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ রয়েছে । জানা যায় নাগেশ্বরী উপজেলার পৌরসভা বাদে ১৪টি ইউনিয়নের মোট ১৫০ টন চাউল যার মূল্য ৬০ লক্ষ টাকা বিনিময়ে ওই অসাধু কাজের সঙ্গে অর্থ উপজেলার দুই কর্মকর্তা ১৪ টি ইউনিয়নের নামীয় ডিও প্রাপ্তি চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান সঙ্গে এলএসডি গোডাউনের সঙ্গে জড়িত তিন ব্যক্তি এ ধরনের কার‌্যক্রম কয়েক বছর ধরে করে আছে বলে জানা যায়। গোপন সোসের ভিত্তিতে আর ও জানা যায়, প্রত্যেকটি ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণ এবং মাস্টার রোল নিয়ে তদন্ত করলে এর সম্পূর্ণ চিত্র উঠে আসবে বলে জানান।শুধু তাই নয় এইসব কাজে কালো বাজারী হিসেবে যে সকল ব্যক্তি জড়িত রয়েছে তাদেরও নাম পাওয়া গেছে এসব ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসা বাদ করলে সম্পূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানান বেরুবাড়ি ইউনিয়নের ভুক্তভোগীসহ উপজেলাবাঁশি।

Showing 1 of 1
Share.
Leave A Reply

Exit mobile version