Sonaly Khobor

খলিলুর রহমান:

মহানগরীর (চট্রগ্রাম) বন্দর থানার ওমরশাহ পাড়ায় অবস্থিত ইমামে আজম আবু হানিফা (রহ.) সুন্নিয়া মডেল মাদ্রাসার এক শিক্ষক তারই ১৪ বছর বয়সী ছাত্রকে একাধিকবার বলাৎকারের অভিযোগে উক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছেন বন্দর থানা পুলিশ। স্থানীয়দের তৎপরতায় ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে এবং শিক্ষক পুলিশের হাতে আটক হন।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম ওমর ফারুক (৪২)। তিনি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

রোববার (২৭ জুলাই)২০২৫ খ্রি: রাতে ভুক্তভোগী ছাত্র তার পরিবারকে ঘটনাটি জানালে উত্তেজিত স্থানীয়রা মাদ্রাসায় গিয়ে ওমর ফারুককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান হাবিব বলেন, শিক্ষক ওমর ফারুক তারই প্রতিষ্ঠানের ১৪ বছর বয়সী ছাত্রকে একাধিকবার বলাৎকার করেছেন। সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে ২৪ জুলাই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অপরাধ স্বীকার করেছেন। মাদ্রাসার সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার দৃশ্য পাওয়া গেছে, যা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রের মেডিকেল পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে এবং শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার সকালে অভিযুক্তকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ,এই হুজুর যে ঘৃণ্য অপকর্ম করেছে, তা পুরো মাদ্রাসা তথা আলেম সমাজকে কলঙ্কিত করেছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন সাহস না করে।

তারা আরও বলেন, এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনুরূপ অভিযোগ উঠেছিল, কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছিল। তবে এবার সিসিটিভি ফুটেজ থাকায় ঘটনাটি আর গোপন রাখা সম্ভব হয়নি।

একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আমরা সন্তানদের ধর্ম শিক্ষা দেওয়ার জন্য মাদ্রাসায় পাঠাই, সেখানে যদি এমন নির্যাতনের শিকার হয়, তাহলে আমাদের ভরসার জায়গা কোথায়।

এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন অপকর্মের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং অভিযুক্তের কঠিনতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ও অভিভাবকরা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version