Sonaly Khobor

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইতিমধ্যে নির্বাচনে জামাত এবং ছোট দলের পক্ষে একক নির্বাচন প্রচার প্রচারণায় সংসদীয় এলাকায় জনসংযোগ করতে দেখা গেছে ।।
সবচেয়ে আলোচিত বড় দল বিএনপি ও তাদের সমমনা
কাহাকেও একক হিসেবে প্রার্থীর নাম চুড়ান্ত কিংবা ঘোষণা না করায় প্রতিটি আসনে “” ৩/৬ জনে পৃথকভাবে তাদের অনুসারী নিয়ে প্রচার করতে মাঠে নেমে পড়ে একে অপরের বিরুদ্ধে বিস্বাদগার বক্তব্যে সরগরম রয়েছে !!
তাই দেখে জনমনে গুঞ্জন , ছাত্র জনতার বিপ্লবের পর দলের অতি লোভী স্বার্থপর শীর্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে নেতাপেতার দলসঙ্গ ,, বিগত হাসিনা শাসনে যাদের মিটিং মিছিলে ভাড়াটে মাস্তান সন্ত্রাসী অপকর্মে তৎপর এখন নব্য দলের আশ্রয় প্রশ্রয়ে “”” চাঁদাবাজী , দখলবাজী , সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তদবির বানিজ্যের নজীর বিহীন ঘটনার দৃশ্যপট দেখে !! সাধারণ মানুষের মনে আতংক জাগিয়ে তুলেছে ।।
হাট বাজারে খেটে খাওয়া কিংবা ক্ষদ্র ব্যবসায়ী , শ্রমজীবী মেহনতী মানুষ বলিতেছে “”” ভোট বিহীন কোন রাষ্ট্র নায়ক কঠিন হাতে দেশ পরিচালনা ভালো মনে হবে ।।
সমাজ রাজনৈতিক ধারণাসম্পন্ন বিজ্ঞ জনের অভিমত
কার প্রতি আস্থা বিশ্বাস রাখতে পারি “” নতুন একটি দল গঠিত হয়েছে যাদের নিবন্ধন নেই তাদের কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক ধারণা ,, দশ মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মদদপুষ্ট হয়ে প্রভাব প্রতিপত্তি , অর্থ বানিজ্যে আঙুল ফুলে ফেঁপে উঠেছে ।।
সবকিছু মিলিয়ে কি হবে আগামী রাষ্ট্রের ভবিষ্যত ??
এবারে মূল প্রসঙ্গে আলোচনায় করা অতি প্রয়োজন ।।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা দিয়েছেন ত্যাগী নেতাদের মাঝে সৎ , যোগ্য , বিগত আন্দোলন সংগ্রামে যারা আত্বত্যাগে বলিয়ান ছিলো তাদের কে এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দিবেন ।।
যদি তাহা হয় তা হলে এদের দীর্ঘ বছরের মাঠ জরীপ যেহেতু ফিরিস্তি আপনার হাতে রয়েছে ,, সেই তালিকা প্রকাশ হোক “” প্রতি আসনে সেই মহান নেতা ভোটারের পাশে আবদ্ধ হয়ে এখনই প্রচারে নামুক ।।
তাহলে এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে দলের প্রকৃত নেতাকর্মী সমর্থক স্বস্তিবোধ করবে ।।
সরজমিনে দেখা এখন যাহা চলছে ৷ তাতে নির্বাচনে বিএনপির জন্য শুভবার্তা বয়ে আনবে না !!
কেউ কেউ হুংকার দিতে দেখা যায় , যদি দল আমাকে মনোনয়ন না দেয় তবে সতন্ত্র প্রার্থী হবো !!
দল বহিষ্কার করুক তাতে তোয়াক্কা করি না কারণ বিগত দিনে সমাজ কর্মের সাথে দল যুক্ত আছি , অন্যদিকে প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাংক তো আমার অনুকূলে ।।
বর্তমান সময়ে প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ে ছাত্রলীগ বা আওয়ামী ঘরনার ১৪- ১৮ সনে নিয়োগ প্রাপ্ত টিএনও ওসি সহ অন্য দপ্তরে বহাল তবিয়তে , এরাই শাসন কার্য্য পরিচালনায়।।
কোথাও কোথাও তাদের ভূমিকা রহস্যময় ।।
যেমন জেলা উপজেলার বিএনপির গ্রুপিং লেগে থাকুক ,, যে জন্যে অসৎপথের নেতাদের সরকারি দপ্তরে তদবির বানিজ্য , হাট বাজার , নদী নালা ইজারা , বাস সিএনজি অটোরিকশা স্টেশনে অবৈধ অথবা ইজারা ডাকে সল্প মূলে সিন্ডিকেট পন্থায় ব্যবস্হা করে দেওয়া এক হীন চক্রান্তে রয়েছে ।।
আবার গোপনে এনসিপি জামাত কে ক্লিন ইমেজে থাকতে বিশেষ পরামর্শ দিতেছে “” যেন বিএনপি থেকে সাধারণ ভোটারদের অনাস্থার জায়গা তৈরি হয় ।।
এমনে তো দলের বদনাম যা হবার দিনে দিনে হয়ে চলেছে ।। সারা দেশে দলের পক্ষ থেকে কয়েক হাজার চুনোপুঁটি নেতা কর্মী বহিষ্কার হয়েছে তাতে কি কোন পরিবর্তন মানুষ দেখেছে ??
এখন বিএনপির নীতিনির্ধারণীর প্রধান অধিকর্তা জনাব তারেক রহমান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপনাদের প্রতি দলের একজন সমর্থক হিসেবে বলতে চাই শহীদ জিয়ার আদর্শ উজ্জীবিত এ দলকে বাঁচাতে নির্বাচন উত্তর প্রতি আসনে দলের একক প্রার্থী ঘোষণা করুন ।।
মনে রাখতে হবে স্বাধীন সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা এবং আধুনিক রাষ্ট্র বিনির্মান একমাত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষে সম্ভব দেশের মানুষ তাই মনে করে ।
Share.
Leave A Reply

Exit mobile version