Sonaly Khobor

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্রগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানাধীন মধ্য হালিশহর মৌজাস্থ মামলার বাদী মো: মতিউর রহমান’র মালিকানাধীন ধুমপাড়া সাগরপাড় রোড তপশীল বর্ণিত জায়গায় নির্মিত দোকানঘরে বিগত ২৬ জুন ২০২৫ খ্রি: বিকাল আনুমনিকা ৪.০০ ঘটিকা মামলার বিবরণ’র ঘটনা ঘটে। মামলার বাদী চট্রগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানাধীন দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর, তজু মিয়া সুকানির বাড়ী, ওমর শাহ পাড়া,মৃত আবদুল মোতালেব এর পুত্র মো: মতিউর রহমান (৫১) জানায় যে, আমি সহজ, সরল, শান্তিপ্রিয়, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মুসলিম পরিবারের নিরীহ ব্যক্তি হই। অপরদিকে মামলার আসামীগণ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজ বটে। আসামীগণ ২০১১ সাল থেকে অদ্যবধি এলাকায় চাঁদাবাজী এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সহিত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লিপ্ত রহিয়াছে। নিম্ন তপশীলে বর্ণিত সম্পত্তি আমি বাদী বিগত ০৫/০৭/২০০৬ খ্রি: আমার মাতা মমতাজ বেগমের নিকট হইতে রেজিস্ট্রিকৃত ৬৯৯৯ নং হেবা দলিল মূলে প্রাপ্ত হয়ে তথায় ৮টি দোকান ঘর, ১টি রিক্সার গ্যারেজ নির্মাণ করিয়া ভাড়া দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। ১-৭ নং আসামীগণ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজী এবং জোরপূর্বক নিরীহ লোকজনের নিকট হইতে চাঁদা দাবী, ভূমি দখলের সহিত জড়িত রয়েছে। আসামীগণ ২০১১ সাল থেকে আমি মামলার বাদীকে জিম্মি করে হুমকি দিয়ে নিয়মিত চাঁদা আদায় করিয়া আসিতেছে। ২নং আসামী এলাকার প্রভাবশালী লোক ছিল। বিগত সরকারের আওয়ামীলীগের নেতা ও সাবেক কমিশনার। তার নিয়ন্ত্রনে অনেক চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী রয়েছে। আসামীরা জিয়াউল হক সুমনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরিয়া এলাকায় চাঁদা দাবী করিয়া আসিতেছে। অভিযোগকারী আমি মামলার বাদী মো: মতিউর রহমান দীর্ঘদিন মুখ খুলিতে পারি নাই। আসামীদের অত্যাচার নির্যাতন মুখ বুঝে সহ্য করিয়া আসিতেছি। প্রতিবাদ করিলে মিথ্যা মামলার আসামী করিয়াছে। থানায় নিয়ে অত্যাচার করিত। আসামীদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের মামলা মোকদ্দমা থানা গ্রহণ করিত না। আমাকে এমন নির্যাতন করিয়াছিল যাহা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছিল। ইতিপূর্বে আমাকে নির্যাতন, মারধর করিয়া দুই মুখের দুই পার্শ্বের কয়েকটি দাঁত ফেলিয়া দিয়েছে।আমি বাদী বি.এন.পির রাজনীতি করার অপরাধে ৩২ বার জেল হাজতে যেতে হয়েছে। আসামীরা আওয়ামী সন্ত্রাসী ছিল। আসামীরা তখন হুমকি দিত যে, ২০৪১ সাল পর্যন্ত আসামীগণ আমি বাদীর নিকট হইতে চাঁদা নিবে। ৫ আগষ্টের পর আসামীদের নির্যাতনের মাত্রা একটু কমলেও ২নং আসামীর নির্দেশে প্রায় সময় আমার নিকট হইতে চাঁদা আদায় করিয়া আসিতেছে। আমি চাঁদা দিবো না বলিলে আসামীরা আমাকে হুমকি দেয় যে, মেরে ফেলবে, লাশ গুম করিবে, ছেলে মেয়েকে মেরে ফেলবে। আমি ভীত সন্ত্রস্থ অবস্থায় দিনাতিপাত করিতেছি। আসামীরা প্রতিমাসে ৫০/৬০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করিয়া আসিতেছে। আসামী ইমন, হাসান, আনিস অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া প্রায় সময় চাঁদা নিয়ে যায়।
বিগত ২৬/০৬/২০২৫ খ্রি:/ তারিখে বিকাল অনুমান ৪.০০ ঘটিকায় ১নং ৩নং, ৪নং, ৫নং, ৬নং, ৭নং আসামী ও অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন সন্ত্রাসী সহ আমাকে ধারালো চাপাতি, হকিস্টিক ও লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বেআইনী জনতা গঠন পূর্বক চাঁদা আদায়ের উদ্যোগ গ্রহণকালে মামলার সাক্ষী মারফত আমি বিষয়টি জানিতে পারিয়া দ্রুত ঘটনাস্থলে আসিয়া আসামীগণ আমার মার্কেটে অনধিকার প্রবেশের কারণ জিজ্ঞাসা করিলে ১, ৩-৭ নং আসামীগণ আমার দোকানসমূহ হইতে মাসিক চাঁদা নিতে আসিয়াছে মর্মে জানাইলে আমি আসামীগণের কথায় প্রতিবাদ পূর্বক আমার মার্কেট হইতে চাঁদা উঠাইতে নিষেধ করিয়া দেই। ইহাতে ৩নং, ৪নং আসামী আমার ২ হাত পিছ মোড়া করিয়া ধরিয়া ফেলে ১নং আসামী আমাকে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে গলার ডান পার্শ্বে ধারালো চাকু বসাইয়া তাৎক্ষনিক প্রানে হত্যার ভীতি সৃষ্টি করতঃ সকল আসামীগণ আমাকে মাসিক ৬০,০০০/- (ঘাট হাজার) টাকা করে চাঁদা প্রদান করিতে হবে মর্মে জানান। ৫নং আসামী একখানা অলিখিত সাদা পৃষ্ঠা ও কলম লইয়া তথায় জোরপূর্বক আমার স্বাক্ষর আদায়ের চেষ্টা করিলে আমি স্বাক্ষর প্রদানে অস্বীকৃতি প্রদান পূর্বক আত্মরক্ষার্থে শোর চিৎকার করিতে থাকিলে মার্কেট সহ আশপাশের লোকজন আগাইতে থাকিলে আসামীগণ তাদের হাতে অস্ত্র দ্বারা শক্তি-ব মহড়া প্রদর্শন পূর্বক জনমনে ভয়ভীতি ত্রাসের সৃষ্টি করিয়া আমাকে পরবর্তীতে মাসিক ৬০,০০০/- (ষাট হাজার) টাকা করিয়া চাঁদা প্রদান না করিলে যে কোন দিন যে কোন মুহুর্তে প্রানে হত্যা করিয়া ফেলিয়া দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করতঃ বীর দর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে এলাকার ১২১ জন সাধারণ মানুষের স্বাক্ষরীত অভিযোগ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করিয়াছেন বলে মামলার বাদী জানান, তিনি আরো জানান যে, আমার জমিতে আমার তোলা দোকান ঘর মামলার ০১ নং আসামী মোঃ হাসান, পিতা: আবদুর রসিদ, বাসা: ক্যাশ পিয়নের বাড়ি, গ্রাম: কালা মাঝির পাড়া, ডাকঘর: বন্দর-৪১০০, চট্টগ্রাম পোর্ট, চট্টগাম সিটি কর্পোরেশন চট্টগ্রাম। আইডি নং- ৫৫০২১৪১৫৯০ তিনি মোঃ সোহাগ সিকদার, পিতা- শাহজাহান সিকদার, মাতা- আকলিমা, স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রামঃ রায়েন্দা রাজৈর, ডাকঘরঃ রায়েন্দা, থানাঃ শরণখোলা, জেলাঃ বাগেরহাট। বর্তমান ঠিকানাঃ কলসী দিঘীর পাড়, ৩৮নং ওয়ার্ড, বন্দর, চট্টগ্রামকে অস্থায়ী চুক্তিনামা মূলে উক্ত দোকান ঘর ভাড়ার চুক্তিপত্রের মেয়াদ ০১/০৫/২০২৫ ইং হইতে ৩১/০৪/২০২৬ইং পর্যন্ত অর্থাৎ ০১ (এক) বছর যাবত বলবৎ থাকিবে।
দোকান ঘর অগ্রিম জামানত মোঃ সোহাগ সিকদার, ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা পক্ষ ১ম পক্ষ মো: হাসান এর বরাবরে পরিশোধ করেন। উক্ত দোকান ঘরের মাসিক ভাড়া ৭,৫০০/- (সাত হাজার পাঁচশত) টাকা ধার্য্য কর হয়। উক্তা ধার্যকৃত মাসিক ভাড়ার টাকা যাহা প্রত্যেক ইংরেজী মাসের ০১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে ২য় পক্ষ মো: সোহাগ সিকদার ১ম পক্ষ মো: হাসান এর বরবরে পরিশোধ করিবে মর্মে চুক্তি রহিয়াছে। আমার জমি আমার ঘর মামলার ০১ নং আসামী মো: হাসান জোর জবরদস্তি ভাবে দখলে নিয়ে ভাড়া দিয়ে টাকা আত্মসাত করাটাও চাঁদাবাজি বলে আমি মনে করি। পরবর্তীতে আমি থানায় মামলা দায়ের করিতে গেলে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার আমাকে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেওয়ায় আমি যথাযথ প্রতিকারের নিমিত্তে, (১)মোঃ হাসান (৪২)পিতা- আবদুর রশিদ সাং- দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর, কালা মাঝির।পাড়া, কেশপিন এর বাড়ী, ৩৮নং ওয়ার্ড,থানা- বন্দর, জেলা- চট্টগ্রাম, (২)জিয়াউল হক সুমন (৫৫) পিতা- সিরাজুল হক (সাবেক কমিশনার) সাং- ৩৯ নং ওয়ার্ড, নিউমুরিং, থানা-ইপিজেড, জেলা- চট্টগ্রাম,(৩) মোহাম্মদ নিজাম (৪৮) পিতা- মরহুম আবুল জুহুর।সাং- মাইজপাড়া, থানা- বন্দর,জেলা- চট্টগ্রাম, (৪) মোঃ আনিস (৩০) পিতা- মৃত ইদ্রিস সাং- ওমর শাহ পাড়া, ফজলুল হক কেরানীর বাড়ী, থানা- বন্দর, জেলা- চট্টগ্রাম,(৫) মোঃ ইমন (২৬) পিতা- মোঃ হাসান সাং- দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর, কালা মাঝির পাড়া, কেশপিনের বাড়ী, ৩৮নং ওয়ার্ড, থানা বন্দর, জেলা- চট্টগ্রাম, (৬) মোহাম্মদ দিদার (৪৩)সপিতা- মৃত ইদ্রিস সাং- মহসিন কন্ট্রাক্টারের বাড়ী, সীমন ষ্টোর, মাইজপাড়া, থানা- বন্দর, জেলা- চট্টগ্রাম,(৭) সাহাব উদ্দিন (৪০) পিতা- ইউনুছ সাং- ডুমপাড়া, ইয়াসিন সুকানির বাড়ী, থানা-বন্দর, জেলা- চট্টগ্রাম সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, গত ৩০/০৬/২০২৫ খ্রি: ১৪৩ /৪৪৭/ ৩৮৫/ ৩৮৬/৫০৬/৫০৬(২)/৩৪ দন্ডবিধি ধারায়, মাননীয়, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালত, চট্টগ্রামে ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করি, যার সি.আর, মামলা নং-২৭৮/ ২০২৫ খ্রি: (বন্দর) অভিযোগ খানা ডিবি কার্যালয় তদন্তধীন রয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version