Sonaly Khobor

মোঃ কামরুজ্জামান হেলাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী এলএ শাখার জমি অধিগ্রহণ কে পুঁজি করে দালালদের দৌরাত্ম্য থামছে না। অফিসের কর্তারা এ বিষয় নিশ্চুপ থাকায় সঠিক জমিদাতারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। জানা গেছে, দালালরা বাড়ি-ঘর ও অর্থ সম্পদের মালিক বনে গেলেও জমিদাতাদের হয়রানি হতে হতে টাকা -পয়সা থেকে শুরু করে জুতার তলা পর্যন্ত ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। তবুও তাদের দালাল ও হয়রানি পিছু ছাড়ছে না। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে নারী-পুরুষ কেউ বাদ যাচ্ছে না তাদের হাত থেকে। দালালদের মূল লক্ষ্যেই হচ্ছে কোথায় কার জমি আছে,কার কার্ডের জমি আছে এ গুলোর তথ্য উপাথ্য সংগ্রহ করে জমিদাতাদের হয়রানি করা। তাতে কোনও সুফল না পেলে ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে কতিপয় ব্যক্তিদের  জমির মালিক সাজিয়ে এলএ শাখায় আপত্তি দিয়ে প্রকৃত মালিক কে বঞ্চিত করা কিংবা  কৌশল অবলম্বন করে তাদের থেকে ব্লাংক চেক নিয়ে আপোষ – মিমাংসা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাভবান হচ্ছে দালালরা। এ যেন দেখার কেউ নেই। দালালরা গ্রাম থেকে শহর ও এল এ শাখার পরতে পরতে অফিস স্টাফ এবং  মাস্তান সহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষজন কে ম্যানেজ করে তারা বিশাল একটা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এ জন্য দালালরা দুদক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও  সাংবাদিকদের পর্যন্ত কেয়ার করেন না। দালালদের হাত এত লম্বা যে তাদের কেউ কিছু করতে পারছেন না।দালারা এ সকল কাজ কর্ম সারতে পটুয়াখালী ডিসি কোর্টের পশ্চিম পার্শ্বের প্রায় দোকান পাঠ ও হোটেল কে তাদের অফিস বানিয়ে ফেলেছেন। পাঠক মহল চোখ রাখুন সোনালী খবর টুয়োন্টি ফোর ডকম এর প্রতিটি সংখ্যায় অচিরেই প্রকাশ হচ্ছে কলাপাড়া, পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকী উপজেলার কে কে পটুয়াখালী এল এ শাখায় দালালি করে এবং তারা অবৈধ টাকায় কোথায় কোথায় জমি ক্রয়, আলিশান বাড়িঘর করেছেন ও কাদের কে টাকা পয়সা দিয়েছেন। অন্যদিকে এলএ অফিসের সাবেক ও বর্তমান এলএ অফিসার থেকে শুরু করে ঝাড়ুদার পর্যন্ত কে কে কোথায় আলিশান বাড়ি ঘর-  ব্যাংক ব্যালেন্স করেছেন এবং অবৈধ আয়ের গরমে ২য় বিবাহ পর্যন্ত করেছেন তারা। অনুসন্ধান শেষে তার ফিরিস্তি প্রকাশ করা হবে( চলবে)।
Share.
Leave A Reply

Exit mobile version